রাজনৈতিক দলের মত আচরন করছে এরাজ‍্যের প্রশাসন : তোপ জেপি নাড্ডার

10th January 2021 8:50 am বর্ধমান
রাজনৈতিক দলের মত আচরন করছে এরাজ‍্যের প্রশাসন : তোপ জেপি নাড্ডার


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) :  বাংলার প্রশাসনের রাজনৈতিক করণ হয়েছে। রাজনৈতিক দলের মত কাজ করছে এরাজ্যের প্রশাসন। এটা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গেছে। ডায়মণ্ডহারভারে যেভাবে আমার উপর আক্রমণ হয়েছে তা সবাই দেখেছে।গোটা দেশ দেখেছে বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শনিবার পূর্ব বর্ধমানে দিনভর রাজনৈতিক কর্মসূচির পর ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নবাবহাটে একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে নাড্ডা বাংলার প্রশাসনকে একহাত নেন। বাংলার কৃষকদের অবস্থা খুবই খারাপ। কিষাণ সম্মান নিধি নিয়েও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন।তিনি বলেন ২৬ লক্ষ কৃষক ইতিমধ্যেই কিষাণ সম্মান নিধির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন। কিন্তু মমতার সরকার তা থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করেছে। গোটা দেশের ২৯ টি রাজ্যের মধ্যে বাংলা আছে ২৪ নম্বরে কৃষিক্ষেত্রে। তাহলে তো বোঝায় যায় কৃষিতে এখানে উন্নয়ন হয় নি।

আজ বর্ধমানে তাঁর শোভাযাত্রায় মানুষের উৎসাহ ও জমায়েত দেখেই বোঝা যাচ্ছে মানুষ বিজেপিকে চায়।রোডশোতে মানুষের সুনামী নামে রাস্তায়। বাংলার বদল আসন্ন।মমতার পা এখন মাটিতে নাই। তিনি আষুমান ভারত নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। বাংলার গরিব মানুষ এর থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের সরকার বাংলায় এলে আষুমান লাগু হবে।গোটা দেশের বড় বড় হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে। মোদী সরকার এই ব্যবস্থা করেছেন।ক্যানসারের চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে আষুমান প্রকল্পে। বাংলা সব থেকে পিছিয়ে আছে। মানুষের আয় কমে গেছে। বাংলার মানুষ মমতার সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কারণ অন্যায়,কাটমানি।আমপানে ক্ষতিপূরণ নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকার ছাড়বে না।অন্যায় করলে তার সাজা হবে।

তিনি বলেন আগামী বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে দুশোর বেশী আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন সরকার দুর্নীতিপরায়ন হলে সেই রাজ্যে উন্নতি হয় না। বাংলাতোও সেই কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। রাজ্যপাল নিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন এটা সম্পূর্ণ সরকারি বিষয়।সুতরাং এই নিয়ে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন।  ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকা নিয়েও রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন গোটা পৃথিবীর মধ্যে ভারতের একটা বড় ব্যাপার হল কোভিড ভ্যাকসিন।মমতার ইগোর জন্য বাংলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত নিয়েও খোঁচা দেন জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন বাংলার মুর্শিদাবাদ জঙ্গিদের আতুড়ঘর।  বাংলায় কাটমানি কালচার চলছে। চাল চুরি, ত্রিপল চুরি হচ্ছে। এগুলি বাংলার কালচার নয়।মমতা সরকার রাজ্যে আসার পর এইসব কালচার তৈরি হয়েছে। আগে বলা হয় সোনার বাংলা।বাংলা যা ভাবে ভারত তা ভাবে।কিন্তু সেসব এখন কোথায়? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে নাড্ডা বলেন জনতা ঠিক করবে।ইডির মুখোমুখি হলেই সব বোঝা যাবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক শেষে গায়ক দেবজিৎ সাহাকে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়।রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাকে দলে যোগদান করান নাড্ডার সামনেই।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।